সর্বশেষ আপডেট



» বাংলাদেশ সম্মিলিত শিক্ষক সমাজ ফেনী জেলা আহবায়ক কমিটি গঠিত

» ফেনী বন্ধুসভার বৃক্ষরোপণ ও বিতরণ

» আমার দেশ সম্পাদকের রত্নগর্ভা মাতা অধ্যাপিকা মাহমুদা বেগমের মাগফিরাত কামনায় ফেনীতে দোয়া

» গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে ফেনীতে সাংবাদিকদের মানববন্ধন 

» ফেনীতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাংবাদিকদের উপর হামলার গোপন পরিকল্পনা ফাঁস

» জনতার অধিকার পার্টির চেয়ারম্যানের উপর হামলা, সংবাদ সম্মেলন

» ফেনী পৌর বিএনপির সদস্য নবায়ন কর্মসূচি উদ্বোধন

» ফেনীতে হেফাজতের দোয়া মাহফিলে আজিজুল হক ইসলামাবাদী- ‘আলেম সমাজ ঐক্যবদ্ধ থাকলে দেশে আর ফ্যাসিবাদ সৃষ্টি হবে না’

» ফেনীতে হাফেজ তৈয়ব রহ. স্মরণে দোয়ার মাহফিল

» ছাত্র জনতার ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ফেনীতে বিএনপি’র বর্ণাঢ্য বিজয় মিছিল, সমাবেশ “গণহত্যার দ্রুত বিচার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি”

» ফরহাদনগরে ছাত্রদল নেতা জিয়া উদ্দিনের ভয়ে বসতবাড়ি ছেড়ে পথে ঘুরছে বৃদ্ধা দুই অসহায় বোন

» বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নতুন কমিটির পরিচিতি ও শিক্ষার মানোন্নয়নে সভা

» ফেনী ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের ৩৫তম ব্যাচের নবাগত শিক্ষার্থীদের বরণ

» ফেনীতে জলবায়ু পরিবর্তন ও সচেতনতা বিষয়ক বিতর্ক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ

» উত্তর চন্ডিপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি এম. আনোয়ারুল ইসলাম

» স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা বাবুর মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়া ও মিলাদ

» বাম গণতান্ত্রিক জোটের ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের রোডমার্চ ফেনী ছাড়লো- দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত 

» সাপ্তাহিক ফেনী সংবাদ এর প্রতিনিধি সমাবেশ অনুষ্ঠিত

» ফেনীতে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভে বক্তারা বলেন- মুসলিম ভূখণ্ডে হামলা করে মুসলমানদের নিশ্চিহ্ন করা অসম্ভব

» ফেনী জেলা যুবদলের ৫১ সদস্যের আহবায়ক কমিটি ঘোষণা

সম্পাদক: শওকত মাহমুদ
মোবাইল: ০১৮১৩-২৯২৮৩৫
সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মোজাম্মেল হক মিন্টু
নির্বাহী সম্পাদক: শাহজালাল ভূঁঞা
মোবাইল: ০১৭১৭-৪২২৪৩৫, ০১৮১৯-৬১৩০০৫

সহ-সম্পাদক: শেখ আশিকুন্নবী সজীব
মোবাইল: ০১৮৪০-৪৪৪৩৩৩
সম্পাদকীয় ও বার্তা কার্যালয়: শহীদ হোসেন উদ্দিন বিপনী বিতান(৬ষ্ঠ তলা), স্টেশন রোড, ফেনী-৩৯০০।
ই-মেইল: ajeyobangla@gmail.com

Desing & Developed BY GS Technology Ltd
৩০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,১৫ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চির বসন্তের দেশে ৭ দিন -ফেরদৌস আরা শাহীন

খবরটা প্রথমে শুনি আমার এক কলিগের কাছে। তিনি রোকেয়া আপা, দাগনভূঞার ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের এক মিটিং-এ একত্রিত হয়েছিলাম আমরা। খবরের সত্যতা পেলাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের অফিস রুমে গিয়ে। যারা ২০১৫ সালে জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক-শিক্ষিকা হয়েছিলেন তাদের কয়েকজন থাইল্যান্ড এবং অপরাপরদের মালয়েশিয়ায় পাঠানো হচ্ছে। আমাদেরকে ৫ ডিসেম্বর মালয়েশিয়ায় পাঠানো হবে।এটা একটা শিক্ষাসফর। আমার সাথে ফেনী জেলায় যিনি শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হয়েছিলেন তিনি যাচ্ছেন থাইল্যান্ড। জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের গত কিছুদিন ধরে দেশের বাইরে নেয়া হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমাদের যাওয়া হবে। চির উপেক্ষিত,সুবিধাবঞ্চিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রতি সরকারের একটা যুগান্তকারী পদক্ষেপ এটি। কোন সন্দেহ নেই এতে শিক্ষকরা আরও দায়িত্বশীল হবেন পেশার প্রতি।
শুরু হল বিদেশ সফর সংক্রান্ত কর্মকান্ড। এই প্রথম দেশের বাইরে যাচ্ছি,তাই পাসপোর্ট দিয়েই শুরু হল আমার প্রথম কাজ। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে অনুমতিসহ যাবতীয় কাজকর্ম সেরে ফেনী পাসপোর্ট অফিসে যাই পাসপোর্ট করতে। শুনেছি ওখানে মানুষ নানা রকম হয়রানির শিকার হয়। তাই চিন্তিতও ছিলাম কিছুটা, কিন্তু আমি জরুরি পাসপোর্ট করতে গিয়ে মাত্র চার কর্ম দিবসেই পেয়ে গেলাম কাঙ্খিত পাসপোর্টটি।
জি ও তে লেখা ছিল আমাদের শিক্ষা সফরটি হবে ৫ ডিসেম্বর। সদস্য সংখ্যা ১৪। টিম লিডার হচ্ছেন মাননীয় অতিরিক্ত সচিব, (প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়) হুসনে আরা ম্যাডাম। ডেপুটি লিডার জনাব এ আর এম মিজানুর রহমান। তিনি পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের উপজেলা শিক্ষা অফিসার। বাকী ১২ জন বিভিন্ন জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক-শিক্ষিকা। বিভাগীয় পর্যায়ে ভাইবা দিতে গিয়ে কক্সবাজারের শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকা রশিদা আপার সাথে গল্প হয়েছিল। পরবর্তীতে কিছুদিন যোগাযোগও হয়েছিল। কিন্তু এরপর কিভাবে যেন উনার নম্বরটি হারিয়ে ফেলি। তাই ৫ তারিখ ধীরে ধীরে ঘনিয়ে এলেও কারো সাথে যোগাযোগ না থাকায় ব্যাপারটা কেমন যেন লাগছিল। এ অবস্থায় হঠাৎ একদিন সকালে রশিদা আপাই ফোন দিলেন। কথা হল উনার সাথে। উনার কাছ থেকে কক্সবাজার জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নুরুল হক ভাইয়ের ফোন নম্বর নিয়ে উনার সাথেও কথা হল। ১২ জনের মাঝে ৩ জনের কথা হল। রইল বাকী ৯।
আমরা ৩ জনই অপেক্ষা করছিলাম অধিদপ্তর আমাদেরকে কখন ফোন দেয়। সকাল বিকাল আমরা পরষ্পর যোগাযোগ রক্ষা করে চলতে থাকি। ইতিপূর্বে যারা শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হয়ে বিদেশ গিয়েছিলেন তাদের সবারই  নির্ধারিত তারিখটি পিছিয়েছিল। তাই আমরা ধরেই নিয়েছিলাম আমাদের যাবার তারিখও পিছাবে। কিন্তু ১/১২/১৬ বিকেলে ফোন পেলাম আমাদের তারিখটা তেমন পিছায়নি, মাত্র ১ দিন পিছিয়েছে। ৫ তারিখের স্থলে ৬ তারিখ। ৫ তারিখ সকাল ৯টায় আমাদের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, মিরপুরে ওরিয়েন্টশন হবে। আমরা যেন সময়মত উপস্থিত হই।
৫/১২/১৬ সকাল ৯টার কিছু আগেই আমরা ১২ জন উপস্থিত হলাম। মানে বাকি ৯ জনের সাথে পরিচয় হলাম। আগামীকাল প্রায় একই সময়ে আমাদের ফ্লাইট। ওরিয়েন্টেশনে মালয়েশিয়া সম্পর্কে কিছু ব্রিফিং দেয়া হল। আমাদের ৭ দিনের সিডিউল ধরিয়ে দেয়া হল। সেই সাথে দেয়া হল টিকেট ও ভাতার চেক। ওরিয়েন্টেশন শেষে আমরা চেক ভাঙিয়ে ডলার করলাম। তারপর ঢাকায় নিজ নিজ অবস্থানে চলে গেলাম।
ইতিমধ্যে অনলাইনে এবং পরিচিত জনদের মধ্যে যারা মালয়েশিয়ায় আছেন তাদের সাথে যোগাযোগ করেছিলাম। মালয়েশিয়া নাকি চির বসন্তের দেশ, একটাই ঋতু, যদিও কাগজে কলমে দুইটা মৌসুমের কথা উল্লেখ আছে। এটা খুব সুন্দর দেশ ইত্যাদি। কাল মালয়েশিয়ার মাটিতে পা দিয়ে জানার, বোঝার চেষ্টা করব অনেক কিছু।
সকাল ৯.৪৫ মিনিটে আমাদের ফ্লাইট। আমি বিমানবন্দরে এসে পৌঁছলাম সকাল ৭টায়, সাথে ছিল আমার মেয়ে নদী আর ছোট ভাই বিত্ত। আমি সবার আগেই এসেছিলাম। বিভিন্ন স্তর পেরিয়ে আমাদের বিমান ফ্লাই করল ৯.৪৫ এর একটু পর। বিদেশ সফর যেমন এই প্রথম, বিমানে ভ্রমণও আমার জন্য এটাই প্রথম। বিমানে চড়ার অভিজ্ঞতা আছে এমন পরিচিত জনদের হাস্যকর সব কথা আমাকে হজম করতে হয়েছে গত কয়েকদিনে (যেমন-বিমান উপরের দিকে উঠার সময় কানে প্রচন্ড শব্দ হবে, নি:শ্বাস নিতে কষ্ট হবে। বেশি কষ্ট হলে যেন বিমানবালার সাহায্য নিই। অক্সিজেন মাস্ক লাগাই। বিমান ল্যান্ড করবার সময় বড় একটা ঝাঁকুনি দেবে, তখন যেন ভয় না পাই, শক্ত করে কিছু ধরে রাখি, সীট বেল্ট শক্ত করে লাগাই। একজন তো বার বার বলছিল ফ্লাই করার অন্তত;দু’ঘন্টা আগে যেন বমির ট্যাবলেট খেয়ে নিই, কারণ বমি হতে পারে। আমার আত্মবিশ্বাস ছিল যে, আমার কিছুই হবে না। কারণ এত সব সমস্যা হলে অসুস্থ রোগীরা কী করে বিমানে করে চিকিৎসার জন্য বাইরে যান? তাছাড়া আমার মায়ের উপর প্রচন্ড আস্থাশীল ছিলাম। উনি বলেছিলেন, সব মিথ্যা কথা, কারণ হজ্জ্ব করতে যেয়ে বিমানে চড়তে তাঁর এসব কিছুই মনে হয়েনি। বাস্তবে আমার মায়ের কথারই প্রমাণ মিলেছে। আসলে আরেকবার প্রমাণ হল, মায়েরাই সুপরামর্শদাতা।)
ডিসেম্বরের ৬ তারিখ। এদেশে একটু একটু শীত। মালয়েশিয়ার বিমান বন্দর পেরিয়েই ঘেমে গেলাম। ভাগ্যিস আমাদের বহনকারী মাইক্রোবাসটিতে এসি ছিল। (অবশ্য যতদূর চোখে গেছে সব গাড়ীতেই ওখানে এসি আছে।)
আমাদেরকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানালো ক্যাথেরিন জিম আর জিয়ানা নামের দু’জন ট্যুরিস্ট গাইড। ওরা আমাদের সাথে ৭ দিনই থাকবে এমনটা আগেই জেনেছিলাম। কিন্তু আগে জানতে পারিনি ওরা এত মিশুক। ভিন্ন ভাষাভাষী দু’জন গাইড আমাদেরকে দ্রুত আপন করে নিল তাদের সদা হাস্যোজ্জল মুখ আর সরলতা দিয়ে। ভাবলাম ট্যুরিস্ট গাইড বলেই হয়ত সবসময় হাসিখুশি থাকা আর ট্যুরিস্টকে সহজভাবে সবকিছু বুঝিয়ে দেয়ার ব্যাপারটা ওরা বেশ ভালোভাবে রপ্ত করেছে। কিন্তু ভুলটা ভাঙল পরদিন আমরা যখন একটা ক্লাসে ছিলাম। দেখলাম মালয়েশিয়ানরা অল্পতেই হাসে। কারণে-অকারণে হাসে। ৭ দিন অবস্থানকালীন সময়ে কখনও কখনও প্রয়োজনে আমাকে চুপচাপ বসে থাকতে হয়েছিল, তখনও সময়টাকে কাজে লাগিয়েছি নিবিড় পর্যবেক্ষণ করে। না, আমি কাউকে বিষন্ন দেখিনি। ৭ দিনের অভিজ্ঞতাকে কয়েকটি পয়েন্টে আনতে চাচ্ছি। আমি এটাকে ভ্রমণ অভিজ্ঞতা না বলে শুধুই অভিজ্ঞতা বলছি এ কারণে যে, আমাদের ঘোরাঘুরির জন্য নির্ধারিত মাইক্রোবাস ছিল। আমরা বিভিন্ন ধরনের যানবাহনে চড়ার সুযোগ পাইনি। অভিজ্ঞতা থেকেই কিছু দিক তুলে ধরছি-
১। মালয়েশিয়ানদের সময় জ্ঞান খুব ভালো, এরা সময় মেনে চলে ঠিকভাবে।
২। তারা নিজেরা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে রাস্তাঘাট পরিচ্ছন্ন রাখে। কোথাও কোন আবর্জনা চোখে পড়েনি।
৩। মাঝে মাঝে ওখানেও রাস্তাঘাটে জ্যাম পড়ে বলে শুনেছি, তবে আমাদের অবস্থানকালীন সময়ে কুয়ালালামপুর এবং পুত্রজায়ার মতো ব্যস্ত নগরীতে জ্যাম পড়তে দেখিনি। ২/৪ বার সিগন্যাল পড়েছিল।
৪। দ্রুত গতিতে মটর সাইকেল চলতে দেখেছি কিন্তু কোন আরোহীকে কিংবা চালককে হেলমেটবিহীন অবস্থায় মটর সাইকেল চালাতে দেখিনি। ট্রাফিক সিগন্যাল পড়া অবস্থায় মুহুর্ত্বেই অনেকগুলো মটর সাইকেল জড়ো হয়ে দাঁড়িয়ে গেলে ব্যাগ থেকে মোবাইলটা বের করে ক্যামেরাবন্দী করতে গেলেই সেগুলো ছুটতে শুরু করে। ফলে এমন সুন্দর সুন্দর দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করতে পারিনি।
৫। কয়েকটা রেস্টুরেন্টে বসে সময় নিয়ে খাবার অভিজ্ঞতা হয়েছে। সেখানে নিজের খাবারের চেয়ে আমি বেশি লক্ষ্য রাখছিলাম মালয়েশিয়ানদের প্রতি। আমি কোন তরুণ-তরুণীকে দেখিনি ফেসবুকে ব্যস্ত থাকতে। খেতে বসে আড্ডা জুড়ে দিতেও দেখিনি। মনে হল, প্রয়োজনের চেয়ে বেশি কথা তারা বলে না। তারা সময়ের মূল্য দিতে জানে। খাওয়া শেষ তো যে যার গন্তব্যে চলে যাচ্ছে। আমরা যে ক’জন আছি শুধু আমরাই কথা বলে যাচ্ছিলাম আর ক্যাথরিন-জিয়ানার ডাকে টেবিল ছেড়ে উঠে পরবর্তী সিডিউল মেনটেইন করছিলাম।
৬। আমাদের দেশের কোন বড় শহরে গেলে সেখানকার এলাকাভিত্তিক নামগুলো আমরা সাইনবোর্ড পড়ে জানতে পারি। যেমন-ঢাকার ধানমন্ডি, বনশ্রী, বাসাবো, শ্যাওড়াপাড়া। কুয়ালালামপুরের কয়েকটা জায়গায় গিয়ে আমি বার বার এলাকার নাম চেয়েও পারিনি কারণ সাইন বোর্ডে প্রতিষ্ঠান বা দোকানের নাম থাকলেও এলাকার নাম দেয়া থাকে না। দু’এক ক্ষেত্রে কী যেন ছিল সেটা ইংরেজী বর্ণমালায় মালয়েশিয়ান ভাষায় লেখা ছিল বলে ভালোভাবে বুঝতে পারিনি।
৭। মালয়েশিয়ানদের নিজস্ব ভাষা আছে কিন্তু বর্ণমালা নেই।
৮। মুসলিম রাষ্ট্র হলেও মসজিদের সংখ্যা খুবই কম। শুক্রবার পিংক মসজিদে আমাদের টিম জুমার নামাজ পড়তে গেলেও আমাদের দেশের মতো কোন ভিক্ষুক দেখিনি। এমন নয় যে ওই দেশে ভিক্ষুক নেই। মাইডিন মার্কেটে আমি এক নারী ভিক্ষুককে দেখেছিলাম। ঐ একজনই, আর দেখিনি।
৯। কুয়ালালামপুরে হাঁটাহাঁটি এবং শপিং করতে গিয়ে মালয়েশিয়ানের চাইতে বিদেশীই দেখেছি বেশি। আমার কাছে পরিসংখ্যান নেই, তবে আমার ধারনা এখানে বিদেশীই বেশি।
১০। কুয়ালালামপুর এবং পুত্রজায়ায় মালয়েশিয়ান রেস্টুরেন্টের পাশাপাশি পর্যাপ্ত বাংলাদেশী এবং ভারতীয় রেস্টুরেন্টও দেখেছি। রেস্টুরেন্টে ভাত পাওয়া যায় ঠিকই তবে পেটে যা ধরে তা নয় বরং বড় মাপের একটা ভাপা পিঠার পরিমাণ ভাতই দেয়া হবে, এর বেশি নয়। ভাতের সাথে পানি দেয়া হয় না। ড্রিংকস বা কোন জুস দেয়া হয়। শুনেছি চাইলে ওসব রেস্টুরেন্টে মিনারেল ওয়াটার কিনে খাওয়া যায়, তবে সেটা নাকি দারিদ্রতার ইঙ্গিত দেয় তাই আমরা নিজেকে বিত্তশালী বা ‘দরিদ্র নই’ বোঝাতে তেষ্টা পেলেও পানি চাইনি। পানির বোতলটি আমাদের ব্যাগেই থাকত সবসময়। অবশ্য সকালে ও রাতে বাংলাদেশী হোটেলেই খেয়েছি নিজেদের মত করে। অফিসিয়াল ডিনারে ভাতের সাথে লাল রঙের শরবত দিয়েছিল।
১১। অফিসিয়াল ওয়েলকাম ডিনার এবং ফেয়ারওয়েল ডিনারসহ রেস্টুরেন্টে বসে খাবার সময় শাক হিসেবে প্রতিবারই পেয়েছিলাম কলমি শাক। সুস্বাদুও হয়েছিল। সম্ভবত; ওখানে ঐ শাকটি প্রচুর উৎপন্ন হয়।
১২। আমাদের দেশীয় ফলের মতো ওখানেও ফল পাওয়া যায় আম, কাঁঠাল, আনারস, তরমুজ, পেঁপেঁ, সফেদা। এগুলো নাকি সারা বছরই পাওয়া যায়। রামবুথাম নামে লিচুর মতো একটা ফল খেয়ে ও বেশ তৃপ্তি পাই। সহজে পঁচে না দেখে কিছু রামবুথাম আমি দেশে আসার সময় নিয়েও আসি। কাঁঠালগুলো ৪/৫ কোয়া করে প্যাকেট করে বিক্রি করা হয়। প্রতি কোয়ার দাম পড়ে প্রায় ২০ টাকা (১ রিঙ্গিট) পেঁপেও ১ পিস ১ রিঙ্গিট বা ১৯/২০ টাকায় পাওয়া যায়। আমের জুস প্রতি গ্লাস ২/৩ রিঙ্গিট।
১৩। একটা ব্যাপার না লিখে পারছি না , সেটা হল কফ, থু থু ফেলবার বিষয়টা। আমাদের দেশের গ্রাম, মফস্বল শহর কিংবা রাজধানী সবখানেই আমরা যেখানে সেখানে এটা ফেলি। ওরা নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া এটা ফেলে না। নিজের শহরটা পরিচ্ছন্ন এবং জীবাণুমুক্ত রাখতে ওরা এতটাই সচেষ্ট।
১৪। কিছু কিছু ব্যাপারে ওদের সাথে আমাদের মিলও আছে। যেমন আমাদের মতো ওরাও সেলফি তোলে, যখন তখন। বড়বড় শপিং মলে কেনাকাটার চেয়ে ঘোরাঘুরি আর ওখানে সেলফি তোলা হয় আমাদের মতোই। আমাদের দেশের মতোই পাগল টাইপের কিছু লোক নোংরা আর জীর্ণ শীর্ণ পোশাকে রাস্তার ধারে পড়ে থাকে। প্রধান প্রধান পর্যটন কেন্দ্রের শপিং মলগুলোতে আমাদের দেশের মতোই দাম বেশি।
১৫। মালয়েশিয়ান ট্যুরিজম সেন্টার এবং গেনটিং হাইল্যান্ডে গেলে সেখানে কাউকে টিকেট কেটে বা কোন পেমেন্ট করে ঢুকতে দেখিনি। এটা সবার জন্য ফ্রি কি না আমার জানা নেই।
১৬। বেশির ভাগ দোকান এবং মার্কেট ফিক্সড প্রাইজের। দরদামের কোন সুযোগ নেই। ৩/৪টি মার্কেটে ঘুরেছি। সবখানেই গ্রাউন্ড ফ্লোরে দেখেছি নানা রকম চকলেট। পুরো ফ্লোর জুড়েই চকলেট।
১৭। ওখানকার পুরুষদের পোশাক আমাদের দেশের মতোই। খুব ভালোভাবে না তাকালে বাংলাদেশী আর মালয়েশিয়ান আলাদাভাবে বোঝার উপায় নেই, চেহারায় এতোটাই মিল। মেয়েদের চেনা যায় তাদের পোশাক দেখে, কারণ ওখানকার মেয়েরা কেউ কেউ বোরখা আর হিজাব পরে, আবার কেউ বা পরে ফতুয়া, গেঞ্জি-প্যান্ট আর হিজাব। অর্থাৎ সব মেয়েই হিজাব পরে।
১৮। ওখানে প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টি হয়। কিন্তু বৃষ্টির পানি কোথাও জমতে দেখেনি। একজনের কাছে শুনলাম ওরা নাকি বাড়ি করতে গেলে আগে ড্রেন করে। অবশ্য যতটুকু জেনেছি তাতে বুঝলাম বৃষ্টি হয় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের। দীর্ঘস্থায়ী বৃষ্টি হয় না। হয়ত এ কারণেই যে কোন মার্কেটে প্রচুর ছাতা পাওয়া যায়।
১৯। হয়ত অফিসিয়াল ট্যুর বলেই আবাসিক এলাকায় যাবার সুযোগ হয়নি। তবে গেনটিং হাইল্যান্ড এবং পুত্রজায়া যাবার সময় দু’একটি জায়গায় আঙ্গুলের ইশারায় জিয়ানা বলেছিল ওগুলো আবাসিক এলাকা। যতদূর দেখেছি ঘরগুলো বহুতল বিশিষ্ট নয়। অর্থাৎ একতলা পাকা বাড়ি। আর প্রতিটি বাড়ির ছাউনি দূর থেকে দেখতে লালচে খয়েরি, টিনশেডের মতো।
২০। মালয়েশিয়ার বিভিন্ন স্কুলে বা শিক্ষা পদ্ধতি সম্পর্কে জানা ছিল আমাদের ট্যুরের মূখ্য উদ্দেশ্য। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের, এ সময় তাদের স্কুলগুলোতে ছুটি চলছিল। কারণ বার্ষিক পরীক্ষা হয়ে গেছে। তবুও যেটুকু জেনেছি সেটা বলছি। ওদের প্রাইমারী লেভেলটা দুই ভাগে বিভক্ত। ৫-৬ বছরের বাচ্চারা প্রি-প্রাইমারীতে পড়ে। কিন্ডার গার্টেনও আছে। ৭-১২ বছরের বাচ্চারা প্রাইমারীতে পড়ে। ১৩-১৫ সেকেন্ডারী স্কুলে এবং ১৬-১৭ বছর হায়ার সেকেন্ডারী।  আমাদের দেশের মতো ৫ম শ্রেণিতে কোন ন্যাশনাল এক্সাম নেই। স্কুল পর্যায়ে মাত্র দুটি ন্যাশনাল এক্সাম হয়- সেকেন্ডারী এবং হায়ার সেকেন্ডারী, এরপরের ধাপ হায়ার এডুকেশন। স্কুলগুলোতে সমাবেশ হয় সপ্তাহের একদিন। কেউ প্রাইমারী লেভেলের শিক্ষক হতে চাইলে তাকে রেজাল্ট করতে হবে (সেকেন্ডারীতে) এক্সেলেন্ট। তারপর ৫ বছর মেয়াদী প্রশিক্ষণ নিতে হবে। প্রাইমারী স্কুলে একজন শিক্ষক কর্মজীবনের শুরুতে পান ৯০০ রিঙ্গিট। প্রথম ৮ বছরে একবার, পরের ৮ বছরে ২য় বার পরবর্তীতে ৬ বছরে একবার এবং ৩ বছর পর শেষ পর্যায়ের স্কেলে উন্নীত হন। অর্থাৎ একজন শিক্ষকের জীবনে ৪ বার বেতন স্কেল পরিবর্তিত হয়। সর্বোচ্চ বেতন গ্রেড ২০,০০০/- রিঙ্গিট। সেটা একজন শিক্ষকও পেতে পারেন, আবার অন্য কোন সরকারি কর্মচারীও পেতে পারেন। ছাত্র;শিক্ষক = ৫;১। আমাদের দেশের মতোই সবার ইনক্রিমেন্ট হয় জুলাইতে। স্কুলগুলোতে আমাদের দেশের মতো কোন মিড ডে মিল কিংবা উপবৃত্তির সিস্টেম চালু নেই। ৪টি মিডিয়ামে পড়াশোনা হয়। মালয়, ইংরেজী, চায়নিজ আর তামিল। ইংরেজী তাদের দ্বিতীয় ভাষা। ৭ম শ্রেণী থেকে ইংরেজী গ্রামার পড়ানো হয়। তাদের নিজস্ব কোন বর্ণমালা না থাকায় মালয় মিডিয়ামের বইগুলো ইংরেজী বর্ণমালায় লেখা, তবে মালয় ভাষায়। যেমন- আমরা ‘আমি ভালো আছি’ কে লিখি Ami Valo Achi। দেশের ৯০ ভাগ স্কুল সরকারি। স্কুলগুলোর ভৌত অবকাঠামো বেশ ভালো। তবে প্রত্যন্ত অঞ্চলে কেমন সেটা দেখার সৌভাগ্য হয়নি। সার্বিক দিক বিবেচনায় ধারণা করছি আমাদের দেশের চেয়ে হয়ত ভালো।
আমরা যে হোটেলে উঠি তার নাম Hotel Rae। প্রথম দিন সন্ধ্যার পর পরই আমাদেরকে নিয়ে যাওয়া হয় ‘রসনা বিলাস’ নামক বাংলাদেশী রেস্টুরেন্টে। সেখানে দেয়া হয় ওয়েলকাম ডিনার। এরপর হয় ফটোসেশন। পরদিন থেকে যত জায়গায় যাই সবখানেই গ্রুপ ছবি নেয়া হয়। আলাদা আলাদাভাবেও আমরা অনেক ছবি তুলি। আমরা একে একে যাই ন্যাশনাল ইয়থ সেন্টার, বাতুকেভ, ন্যাশনাল ইউনিয়ন অফ দ্যা টিচিং প্রফেশন, টুইন টাওয়ার, গেনটিং হাইল্যান্ড, কিং প্যালেস, ন্যাশনাল মন্যুসেন্টসহ নানা জায়গায়। মালয়েশিয়ান ট্যুরিজম সেন্টারে তাদের নিজস্ব সংস্কৃতির উপর যে কালচারাল অনুষ্ঠানটি সেখানে হয় সেটা আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। কুয়ালালামপুরে অবস্থিত টুইন টাওয়ারটিও দেখার মতো। শুধু আমি নই এই বাণিজ্যিক কেন্দ্রটি দেখে সবাই মুগ্ধ হই, যে কারণে দেশে আসার সময় মার্কেট থেকে সবাই কম বেশি টুইন টাওয়ারের শো-পিচ নিয়ে আসি। পাহাড়ে ঘেরা গেনটিং হাইল্যান্ড ছিল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মধ্যে মালয়েশিয়ার সবচেয়ে সুন্দর জায়গা (আমার ধারনা)। রোপের উপর দিয়ে ‘কেবল কার’ এ করে আমরা হাইল্যান্ডের উপরে  অবস্থিত সুদৃশ্য ছোট নগরীটি দেখি। জায়গাটা বেশ ঠান্ডা। টুকরো টুকরো মেঘ ভেসে বেড়ায় সেখানে। মালয়েশিয়ানরা সুউচ্চ পাহাড়গুলোকে খুব সুন্দরভাবে কাজে লাগিয়ে পর্যটন শিল্প বানিয়েছে। সেখানে আছে বাচ্চাদের খেলবার আইটেম, ক্যাসিনো, শপিংমল, খাবার দোকান। তবে সবকিছুর দামই চড়া। আমি অল্প কিছু জিনিস কিনি (সেটা হয়ত স্যুভিনয়র হিসেবেই থাকবে) পর্যটন স্পর্ট বলে নয় ২/৩টি নগরী ঘুরে মনে হল এগুলো পরিকল্পিত নগরী। যা আমরা এখনও করতে পারিনি।
৬ষ্ঠ দিন আমরা টুকটাক ঘোরাঘুরি করি কিং প্যালেস আর ন্যাশনাল মন্যুমেন্টে। দুপুরে গাইড দুইজন আমাদেরকে হানিফা মার্কেটের সামনে রেখে যায়। আমরা লাঞ্চ করি এবং প্রায় ৪ ঘন্টা ধরে শপিং করি। দুইটা জিনিস প্রায় সবাই কিনি স্বর্ণ ও টুইনটাওয়ারের শো-পিচ। অনেকে বেশি করে চাবির রিংও কেনেন। বলাবাহুল্য, সেখানেও প্রাধান্য পেয়েছে টুইনটাওয়ার। সন্ধ্যায় ফেয়ারওয়েল ডিনার হল ন্যাশনাল ইয়থ সেন্টারে। প্রথম দিনের মতোই বাংলাদেশী খাবার দেয়া হল। ডিনার শেষে প্রত্যেককে দেয়া হল ১টি করে সার্টিফিকেট এবং প্রথম দিনে তোলা বাঁধাই করা ১টি গ্রুপ ছবি। এরপর আবার গ্রুপ ছবি তুলে সেদিনের মতো বিদায়।
৭ম দিন আমরা ব্রেকফাস্ট সেরে বিদায়ের প্রস্তুতি নিই। গতরাত থেকেই ব্যাগ গোছানো প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছিল। ক্যাথরিন এসে সবাইকে পুরো ৭ দিনে বিভিন্ন স্পটে তোলা ছবিগুলো একটা পেন-ড্রাইভে দিল। বেলা সাড়ে ১১টায় হোটেল থেকে চেক আউট হলাম। দেখলাম আমার ছাত্র রুবেল আমার জন্য এক ঝুঁড়ি রামবুথাম (ফল) নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। রুবেলের কথা বলাই হয়নি। রুবেল ৫ম শ্রেণি পাশ করেছে আজ থেকে বেশ কয়েক বছর আগে। তখন আমি লক্ষ্মীয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলাম। আমার মালয়েশিয়া যাবার কথা শুনে সে ৬ তারিখে আমাকে বিমানবন্দরে রিসিভ করা থেকে শুরু করে শেষ দিন পর্যন্ত কি লাগবে না লাগবে সব দেখভাল করেছে। এমনকি আমার সফর সঙ্গীদেরকেও বিভিন্ন ব্যাপারে হেল্প করেছে। সারাদিন কাজ করে ৩০/৪০ কি.মি. পথ ডিঙ্গিয়ে সে প্রতিদিন আমার কাছে আসতো। সন্ধ্যার পর শপিং এ যেতে রুবেলের ভূমিকাই ছিল বেশি। ইংরেজী এবং মালয় ভাষা ভালোভাবে জানতো বলে মাঝে মাঝে দোভাষীর ভূমিকায়ও সে ছিল।
সুন্দর দেশ আর সুন্দর মানুষগুলো ছেড়ে বিশেষ করে ক্যাথরিন আর জিয়ানাকে ছেড়ে বেলা দেড়টায় আমরা হোটেল লবী ছেড়ে বিমান বন্দরের উদ্দেশ্যে গাড়িতে উঠলাম। মোবাইল মেমোরিতে এবং আপন স্মৃতিতে করে নিয়ে এলাম অনেক কিছু। আমাদের ফ্লাইট দুই ঘন্টা ডিলে হল। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৯টায় বিমান শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে ছুঁইলো। ইমিগ্রেশন পার হয়ে লাগেজ নিয়ে বেরিয়ে আসতে আসতে রাত সাড়ে ১১টা বাজল। নদী আর বিত্ত অপেক্ষা করছিল। বের হতেই রাস্তাঘাটের সেই চিরচেনা দৃশ্য দেখলাম। ময়লা আবর্জনা এখানে সেখানে পড়ে আছে। তখন ও ঢাকা শহরের রাস্তায় জ্যাম। পরদিন ফেনী আসার পথে অপরিকল্পিত প্রাকৃতিক ও সামাজিক সৌন্দর্যে ভরা দেশটাকে দেখলাম। হোক না অপরিস্কার। তাতে কি? নিজের তো? কিন্তু এমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে গড়া জনপদ একটি ও কি আর কোথাও আছে? তাই তো কবি বলেছেন-
‘এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে না’ক তুমি
সকল দেশের রাণী সে যে আমার জন্মভূমি’

আমার চোখ ভিজে উঠেছে এক অপার আনন্দে। তৃপ্তির আনন্দ!

# লেখক : প্রধান শিক্ষক, চেওরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। তিনি ২০১৫ সালে জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



সম্পাদক: শওকত মাহমুদ
মোবাইল: ০১৮১৩-২৯২৮৩৫
সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মোজাম্মেল হক মিন্টু
নির্বাহী সম্পাদক: শাহজালাল ভূঁঞা
মোবাইল: ০১৭১৭-৪২২৪৩৫, ০১৮১৯-৬১৩০০৫

সহ-সম্পাদক: শেখ আশিকুন্নবী সজীব
মোবাইল: ০১৮৪০-৪৪৪৩৩৩
সম্পাদকীয় ও বার্তা কার্যালয়: শহীদ হোসেন উদ্দিন বিপনী বিতান(৬ষ্ঠ তলা), স্টেশন রোড, ফেনী-৩৯০০।
ই-মেইল: ajeyobangla@gmail.com

Design & Developed BY GS Technology Ltd

error: Content is protected !!